ভারত প্রায়ই অনাবিষ্কৃত রহস্যের স্হান রূপে পরিচিত। বিভিন্ন ধর্মের উপস্হিতি ভারতকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রতে পরিণত করেছে। ভারতে এমন কিছু পরিতক্ত্য স্হান আছে যা খুবই রহস্যময়ী। এমন কিছু স্হান হলো-
1. ভানগড়, রাজস্থান
ভানগড় হলো রাজস্হানের সবচেয়ে ভয়ানক পরিতক্ত্য স্হান। বহু পর্যটক এই ভুতের নগরীতে ঘুরতে আসেন। জঙ্গলের কাছে অবস্হিত এই এলাকাটি এখন সকলের কাছে আকর্ষণীয় স্হান হয়ে উঠেছে। কিন্তু সূর্যাস্তের পর এখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তার কারণ হলো এখানে প্রচলিত কাহিনী। এই শহরটি এক জাদুকরের দ্বারা অভিশপ্ত। এই জাদুকর সুন্দর রাজকুমারী রতনাবতীর প্রেমে পড়েছিলেন। যখন রাজকুমারীর বয়স 18 তখন তাকে বিয়ে করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে বহু সম্বন্ধ আসছিল। এদিকে যাদুকর তাকে বিয়ে করার জন্য নান রকম ফন্দি করছিল। একদিন রাজকুমারী তার বন্ধুদের সাথে বাজারে গিয়েছিলেন। জাদুকর তাকে নিজের বশে আনার জন্য জাদুমন্ত্র করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়। জাদুকর মৃত্যুর আগে অভিয়াপ দেয় যে এখানে আর কোনওদিন বসতি স্হাপন করা যাবে না। যে এখানে বসতি স্হাপর করবে তার মৃত্যু হবে তাদের আত্মাও কোনওদিন মুক্তি পাবে না।
2. ডুমাস বিচ, গুজরাট
ডুমাস বিচ হলো গুজরাটের সবথেকে ভয়ানক স্হান। এই সমুদ্র সৈকত সুরাটের কাছাকাছি অবস্থিত। প্রতিদিন প্রায় অগণিত দর্শক এখানে আসেন। বিশ্বাস করা হয় যে অনেক মানুষ এখানে তাদের জীবন হারিয়েছে। যদি আপনি সাহসী হৃদয়ের হন তাহলে মধ্যরাত্রে এখানে এসে পরীক্ষা করতে পারেন। এটাও বলা হয় যে এই সৈকত দীর্ঘ সময় ধরে হিন্দু সমাধিস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। নির্যাতন আত্মার বিশ্রামের জায়গা। এখানে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হওয়া মানুষের খোজও কোনদিন পাওয়া যাইনি।
3. মাহিমে অবস্হিত ডি’সুজা চল – মুম্বাই
এই চলে বসবাসকারী লোকেদের মতে এই চলের একজন মহিলার কুয়ায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে তার আত্মা এখানে ঘোরাফেরা করে। প্রতিদিন রাতে মহিলাটির আত্মা এখানে আসে। কিন্তু কাউকে ক্ষতি করে না। সূর্য ওঠার সাথে সাথে কোথায় অদৃশ্য হয় যায়।
4. বোম্বে সুপ্রিম কোর্ট – মুম্বাই
বিগত 30 বছরেরও বেশি সময় ধরে যখনই এই আদালতে হত্যার বিচার পরিচালিত হয় তখন এক প্রতিহিংসাপরায়ণ দ্বিভাষিক প্রেতাত্মা প্রবেশের জন্য সকলকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে।
5. সঞ্জয় (Qutab ইনস্টিটিউশনাল এরিয়ার কাছাকাছি) ভ্যান – নিউ দিল্লি
সঞ্জয় ভ্যান হলো একটি বিশাল জঙ্গল এলাকা। যা প্রায় 10 কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানে একটি শ্মশানও রয়েছে। বহুজন এখানে সাদা শাড়ি পরা এক ভদ্রমহিলাকে দেখেছেন যে হঠাত্ অদৃশ্য হয়ে যায়।
6. থ্রি কিংস চার্চ – গোয়া
একটি কাহিনী অনুসারে তিনজন রাজা সম্পত্তি পাওয়ার লোভে একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং এই যুদ্ধে একে অপরকে হত্যা করে। এলাকাবাসী ও দর্শকরা দাবি করে যে এই গির্জা তিনজল রাজার আত্মার দ্বারা আবিষ্ট। মনে করা হয় তাদের আত্মা প্রাঙ্গনে চারপাশে ঘোরাঘুরি করে।
7. কার্শিয়ং অবস্হিত ডাউ পার্বত্য – দার্জিলিং
কার্শিয়ং অবস্হিত ডাউ পার্বত্যকে ভারতের একটি পরিত্যক্ত জায়গা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের এই ছোট জনপদ সেরা বোর্ডিং স্কুলের জন্য বিখ্যাত। মেয়েদের জন্য ডাও পার্বত্য বোর্ডিং স্কুল হলো অতিপ্রাকৃত কার্যকলাপের কেন্দ্র। স্কুলের চারপাশে থাকা জঙ্গলটি হলো খুবই ভয়ানক। বহু কাঠুরিয়া এই জঙ্গলে একটি মস্তিষ্কহীন ছেলেকে দেখেছে। অসংখ্য মার্ডারও এই জঙ্গলে হয়েছে।
8. চন্দন নগর – পুনে
এখানে একটা মেয়েকে সাদা জামা পরে ঘুরতে দেখা যায়। হাসিটা এতটাই ভয়ানক যা অাপনাকে ভীত করবে। বেশ কিছু ভয়াবহ সিনেমা ভয় সৃষ্টি করার জন্য এই ধরনের চিত্রায়ন ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় 10 বছর আগে একটি অধীন নির্মাণ সাইট একটা অল্প বয়সের মেয়েকে হত্যা করা হয়। রাত 12 টার সময় তাকে দেখা যায়। অধিবাসীগণ এবং অনুপ্রবেশকারীদের মতে মেয়েটির হাতে একটি পুতুল থাকে।